গত বছরের প্যারিস অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে বিতর্ক কম হয়নি। আলজেরিয়ার ওয়েল্টারওয়েইট ইমান খেলিফ এবং চীনের ফেদারওয়েইট লিন ইউ-তিং আসলেই মেয়ে কি না, এ নিয়েই ছিল যত বিতর্ক। লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের এখনো প্রায় ৩ বছর বাকি। বিতর্ক এড়াতে এতদিন আগেই নীতিতে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি)।
আয়োজক কমিটির হালনাগাদ নীতিমালা অনুযায়ী, আসন্ন ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা নারীদের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। ইউএসওপিসির নেওয়া এ সিদ্ধান্ত চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইউএসওপিসি অ্যাথলেট সেফটি পলিসির হালনাগাদ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘আইওসি, আপিসি, এনজিবির মতো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে ইউএসওপিসি। যাতে করে নারীরা একটি ন্যায্য ও নিরাপদ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ পায়। এটি নির্বাহী আদেশ ১৪২০১ ও টেড স্টিভেনস অরিম্পিক ও অ্যামেচার স্পোর্টস অ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাত দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে ইউএসওপিসি প্রেসিডেন্ট জিন সাইকেস ও প্রধান নির্বাহী সারাহ হিরশাল্ড এ সপ্তাহে টিম ইউএসএ-র উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। সেখানে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের।’
তা ট্রাম্পের সেই নির্বাহী আদেশে কী ছিল? গত ফেব্রুয়ারিতে ‘নারীদের খেলায় পুরুষরা অংশ নিতে পারবে না’ শীর্ষক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। মেয়েদের সকল ধরনের খেলাধুলা থেকে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করাই ছিল এ নির্বাহী আদেশের লক্ষ্য। এ আদেশের পক্ষের লোকজনের মতে, এটি প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনবে। অন্যদিকে সমালোচকদের দাবি ছিল, এ আদেশ সংখ্যালঘু ক্রীড়াবিদদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল।
শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই থেমে থাকেনি ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে স্কুল পর্যায়ের মেয়েদের প্রতিযোগিতাতেও ট্রান্সজেন্ডার নারীরা অংশ নিতে না পারে।
পরবর্তীতে এই আদেশ আরও বিস্তৃত হয়েছে। ট্রাম্প সরকার জানিয়েছেন, ট্রান্সজেন্ডার নারীরা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ভিসা পাবেন না। সে সময় ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে জানিয়েছিলেন, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্বাহী আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে নির্দেশ দেয়। যাতে করে ওআইসি নীতিমালায় পরিবর্তন নিয়ে আসে।
এ আদেশ যে খুব বেশি সংখ্যক অ্যাথলেটের ওপর প্রভাব ফেলবে, এমন নয়। গত ডিসেম্বরে দেশটির ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট সিনেটের এক প্যানেলে জানিয়েছিলেন, ১১-শ স্কুলের প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার অ্যাথলেটের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট ১০ জনেরও কম।
আয়োজক কমিটির হালনাগাদ নীতিমালা অনুযায়ী, আসন্ন ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা নারীদের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। ইউএসওপিসির নেওয়া এ সিদ্ধান্ত চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইউএসওপিসি অ্যাথলেট সেফটি পলিসির হালনাগাদ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘আইওসি, আপিসি, এনজিবির মতো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে ইউএসওপিসি। যাতে করে নারীরা একটি ন্যায্য ও নিরাপদ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ পায়। এটি নির্বাহী আদেশ ১৪২০১ ও টেড স্টিভেনস অরিম্পিক ও অ্যামেচার স্পোর্টস অ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাত দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে ইউএসওপিসি প্রেসিডেন্ট জিন সাইকেস ও প্রধান নির্বাহী সারাহ হিরশাল্ড এ সপ্তাহে টিম ইউএসএ-র উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। সেখানে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের।’
তা ট্রাম্পের সেই নির্বাহী আদেশে কী ছিল? গত ফেব্রুয়ারিতে ‘নারীদের খেলায় পুরুষরা অংশ নিতে পারবে না’ শীর্ষক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। মেয়েদের সকল ধরনের খেলাধুলা থেকে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করাই ছিল এ নির্বাহী আদেশের লক্ষ্য। এ আদেশের পক্ষের লোকজনের মতে, এটি প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনবে। অন্যদিকে সমালোচকদের দাবি ছিল, এ আদেশ সংখ্যালঘু ক্রীড়াবিদদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল।
শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই থেমে থাকেনি ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে স্কুল পর্যায়ের মেয়েদের প্রতিযোগিতাতেও ট্রান্সজেন্ডার নারীরা অংশ নিতে না পারে।
পরবর্তীতে এই আদেশ আরও বিস্তৃত হয়েছে। ট্রাম্প সরকার জানিয়েছেন, ট্রান্সজেন্ডার নারীরা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ভিসা পাবেন না। সে সময় ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে জানিয়েছিলেন, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্বাহী আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে নির্দেশ দেয়। যাতে করে ওআইসি নীতিমালায় পরিবর্তন নিয়ে আসে।
এ আদেশ যে খুব বেশি সংখ্যক অ্যাথলেটের ওপর প্রভাব ফেলবে, এমন নয়। গত ডিসেম্বরে দেশটির ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট সিনেটের এক প্যানেলে জানিয়েছিলেন, ১১-শ স্কুলের প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার অ্যাথলেটের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট ১০ জনেরও কম।